করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রনের দাপটে বিশ্বে রীতিমতো বয়ে যাচ্ছে সংক্রমণের সুনামি। নতুন করে আবার সংকটের মুখে পড়েছে বিশ্ব। তবেই এই সংকটকেই শাপে বর মনে করছেন বিশ্বখ্যাত এক ইসরায়েল চিকিৎসক-গবেষক। তার মতে, প্রাকৃতিক টিকার মতোই মহামারী চূড়ান্তভাবে দূর করতে কাজ করবে ওমিক্রন।
এদিকে, আগামী মে মাসের মধ্যেই করোনা মহামারী বিশ্ব থেকে বিদায় নেবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক এক চিকিৎসক।
বিশ্বে নতুন বছরের আগমনই হয়েছে ওমিক্রনের আতঙ্ক নিয়ে। হু হু করে বাড়ছে করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। এরইমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই ধরণে। কোথাও কোথাও মৃত্যুও ঘটেছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর। তবে এই আতঙ্ক নিয়েই আশানরুপ তথ্য দিলেন বিশ্বখ্যাত ইসরায়েলি চিকিৎসক ও গবেষক আফসাইন ইমরানি।
তিনি বলেন, ওমিক্রন হলো এমন এক প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন, যা হাজার চেষ্টা করেও বানাতে পারেনি ওষুধ কোম্পানিগুলো। তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে ভর্তি অক্সিজেনের চাহিদা, এধরণের যেসব কারণে করোনাকে ভয় পেতে শুরু করেছিল মানুষ, সেসব ভয়ংকর উপসর্গের কোনোটাই নেই ওমিক্রনের। বরং রোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিকভাবে আরও হার্ড ইমিউনিটি তৈরী করে দিচ্ছে ওমিক্রন। তার বিশ্বাস, মাত্র ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই পুরো প্রাকৃতিক উপায়ে পেয়ে যাবে করোনার বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ।
ভারতের সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ড: যোগরাজ রায়ের মুখেও শোনা গেল একই সুর। অমিক্রনই হাইব্রিড ইমিউটিই তৈরী করে মৃত্যুর হাত থেকে বহু মানুষকে বাঁচিয়ে তুলবেন বলে দাবি করেছেন তিনি। আহ্বান জানিয়েছেন ধরণটি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার।
এদিকে মহামারী বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক রুশ প্রধান স্বাস্থবিষয়ক চিকিৎসা কর্মকর্তা গেন্নাদি অনিশ্চেঙ্কোও দিয়েছেন ইতিবাচক তথ্য। এই বিশেষজ্ঞের মতে, জোর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং টিকাদানের প্রয়াসের মাধ্যমেই আগামী মেরে মধ্যে পৃথিবী থেকে দূর হতে পারে অভিশপ্ত এই মহামারী।